যশোরের অভয়নগরে ফেসবুকে কুরুচিপুর্ণ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দু গ্রুপের মারামারিতে দুই জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৯ ফেব্রুযারি) উপজেলার নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, নওয়াপাড়া পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের সিরাজ বিশ্বাসের ছেলে ফুয়াদ হোসেন (২০) ও একই এলাকার লিটন মোল্যার ছেলে সিয়াম হোসেন (১৮)।
জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুটি আলাদা গ্রুপ ফেসবুকে সক্রিয় রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে একে অন্যের প্রতি নানা অভিযোগ করে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক পক্ষের সংগঠক নওয়াপাড়া গরুহাট এলাকার মৃত মিন্টু পাটোয়ারির ছেলে রাকিব পাটোয়ারির নামে ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য করে ফুয়াদ নামের একজন। রাকিব অশালীন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ফুয়াদ তা অস্বিকার করে। এরপর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাকিব তাকে চড় দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় ফুয়াদ ও সিয়াম আহত হলে তাদেরকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা আবার সংঘবদ্ধ হয়ে রাকিবের উপর হামলা চালাতে গেলে এলাকাবাসী তাদেরকে একটি ঘরে আটকে রাখে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা উভয়পক্ষকে ডেকে আর কোন মারামারি না করার শর্তে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহফুজুর রহমান সবুজ বলেন, সকালে দুজন ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহতদের প্রাথমিক চিকৎসা দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ফুয়াদের ভাই রিদয় ফারাজী বলেন, আমার ভাইকে রাকিব পাটোয়ারী মারধর করেছে, কেন মারধর করেছে জানতে চাইলে তারা আমাদের উপরও চড়াও হয়। আমরা এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করবো।
এ ঘটনায় জানতে চাইলে রাকিব পাটোয়ারী বলেন, আমার ব্যাপারে তারা ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করেছে, আমি এ বিষয়ে শুনলে তারা অস্বীকার করেছে। তখন স্থানীয় কিছু লোকজন তাদের উপর চড়াও হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলিম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এ ঘটনায় থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
খুলনা গেজেট/ টিএ